লালমনিরহাট জেলা পুলিশ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে (পুলিশ নারী কল্যাণ সংস্থা)র পুনাক শিল্প পণ্য মেলার মাস ব্যাপী আয়োজন করেছে। মেলায় জনসমাগম বাড়াতে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত সার্কাস, মৃত্যুকূপসহ নানা ধরনের খেলা। পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে চলবে এ মেলা। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েশন সংক্রমণ রোধে লালমনিরহাট জেলাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় রেড জোন ঘোষণা করেছে সরকার। সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধিমানতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে পত্র দিয়ে সর্তক করা হয়েছে। সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও লালমনিরহাটে এখনও বন্ধ হয়নি পুনাক শিল্প পণ্য মেলা। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণরোধে লোক দেখাতে লালমনিরহাট জেলা শহরের মিশন মোড়ে ঘটাকরে মাক্স বিতরণ করতে দেখা গেছে পুলিশের। বিষয়টিকে লালমনিরহাট জেলার সচেতন সাধারণ জনগণ পুলিশের করোনা নিয়ে তামাশা হিসেবে দেখছে। দিন দিন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে গাণিতিক হারে বেড়েইে চলছে। ইতিমধ্যে সরকার স্কুল, কলেজ ও বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া নানাধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, বিবাহসহ জনসমাগম হতে পারে এমন অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এদিকে পুনাক শিল্প পণ্য মেলার পাশাপাশি সকল বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুরেও চলছে সার্কাস ও নৃত্য। এ বিষয়ে কোন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলতে চায়নি। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় সাংবাদিকদের জানান, লালমনিরহাট সীমান্ত জেলা। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে লালমনিরহাটকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারি নিদের্শনা কঠোরভাবে পালনে স্বাস্থ্য বিভাগ অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতা চাইবে। আমরা সুপারিশ করি বাস্তবায়ন করে জেলা প্রশাসন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।